বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তা

বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তা

বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তারা সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে উঠে আসছেন এবং তাদের যোগদান ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তা গুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যরত এবং তাদের কাজের পরিসর ও প্রযুক্তির প্রয়োগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তা
নারী উদ্যোক্তাদের অনেকে পরিবার অথবা সম্প্রদায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট, তাদের ব্যবসা গুলি অনেকটাই ছোট ও মাধ্যমিক ব্যবসা হতে পারে, যেমন কৃষি, প্রক্রিয়াকরণ, বাগানবিদ্যা, পোশাক, কেটারিং এবং প্রতিষ্ঠানিক সেবা প্রদান। তবে, কিছু নারীর কাছে পৃথিবী মানের প্রচেষ্টারও চ্যালেঞ্জ আছে,

বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তারা কাজ করে তাদের প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নিজেদের দক্ষতা এবং সামর্থ্য প্রমাণ করে আগামীর সুযোগ সৃষ্টি করছেন। অনেকেই সমাজের সমস্যার সমাধানে নতুন ও উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নেয়ায় প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন উৎপাদন পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রতিষ্ঠানগুলি চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন এবং স্বাধীনতা অর্জনে নতুন মৌলিক উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নেয়ায় আগ্রহী।

এই প্রক্রিয়ায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ এবং প্রতিষ্ঠানের শাস্ত্রী নির্ণয় গ্রহণ।

উদ্যোক্তা হল এমন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী যে সাধারণত নিজের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করেন। একজন উদ্যোক্তা তার নিজস্ব অঙ্গভঙ্গি বা কোম্পানির মাধ্যমে আরও নতুন মার্কেট অথবা সেবা সম্পর্কে চিন্তা করে নতুন ব্যবসায়িক সৃষ্টিকরণ করেন।

একজন উদ্যোক্তা হতে হলে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা ও সুযোগ থাকতে হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হলো:

1.প্রতিষ্ঠান পরিচালনা: একটি ব্যবসা পরিচালনার জন্য কার্যকরী পরিচালক দল গঠন, উন্নয়ন এবং অগ্রগতির উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা তৈরি করা।
2.ব্যবসায়িক কার্যকলাপ জ্ঞান: ব্যবসা ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতির সাথে ভালো পরিচিতি এবং সুবিধাজনক সমাধান তৈরি করার জন্য দক্ষতা।

3.বিত্তীয় পরিচালনা: উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে একটি মূলত প্রয়োজনীয় দক্ষতা হল প্রায়শই তার প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সুনির্দিষ্ট করা এবং সুনির্দিষ্ট পরিপক্ক প্রকৌশল পরিচালনা করা

 উদ্যোক্তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা চালাতে পারেন। কিছু উদাহরণ হলো:

4.উদ্যোগপতি উদ্যোক্তা: এই ধরনের উদ্যোক্তা সাধারণত নতুন এবং নতুন সংস্থা বা পণ্য বা সেবা শুরু করেন। তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে প্রাথমিক সংস্থার পরিচালনা করেন এবং পরিবেশকে পর্যবেক্ষণ করে তাদের ব্যবসায়িক উন্নয়ন করেন।

5.জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের সাধারণ উদ্যোক্তা: এই উদ্যোক্তারা বৃদ্ধি করে তাদের ব্র্যান্ড এবং ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী সফলতা অর্জন করেন। এই ধরনের উদ্যোক্তারা সাধারণত উন্নত ব্যবসা মডেল ব্যবহার করে তাদের পণ্য ও সেবার সাপেক্ষে প্রচার এবং বিপণন পরিচালনায় প্রকৌশল ব্যবহার করেন।

6.কৃষি ও পরিবেশ বিনির্মাতা উদ্যোক্তা: এই উদ্যোক্তারা কৃষি, জৈব উৎপাদন এবং পরিবেশের বিনির্মাণে আগ্রহী থাকেন। তারা নতুন ও সাস্থ্যকর প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান করে এবং এই অঞ্চলের বিকাশ এবং উন্নয়ন করেন।

7.প্রযুক্তি উদ্যোক্তা: এই উদ্যোক্তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন ও সাধারণত প্রযুক্তিমুলক পণ্য বা সেবা বিক্রি করেন। তাদের কাজের ধারাবাহিকতা বা সমস্যা সমাধানের জন্য প্রযুক্তির নতুন সৃষ্টি করা উদ্দেশ্যে তাদের ব্যবসায়িক সৃষ্টি করা হয়।

8.সামাজিক উদ্যোগপতি: কিছু উদ্যোক্তারা সমাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উদ্যোগ চালাতে পারেন, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি এবং তাদের কাজের উদ্দেশ্য হলো সামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশের উন্নয়ন।

9.শিল্প ও সাংগঠনিক উদ্যোগপতি: কিছু উদ্যোক্তা শিল্প ও শিল্পপতি সংগঠনগুলি পরিচালনা করেন এবং ক্রিয়াশীল কৌশল এবং উৎপাদন করেন। এদের উদ্যোগের উদ্দেশ্য হতে পারে নতুন সৃষ্টির মাধ্যমে রচনাত্মক মনোভাব প্রকাশ এবং সাংগঠনিক সমস্যা সমাধান।

10.পরিষেবা ও বাণিজ্যিক উদ্যোগপতি: কিছু উদ্যোক্তা পরিষেবা উন্নয়ন করেন এবং বাণিজ্যিক পরিস্থিতির মধ্যে উদ্যোগের উন্নয়ন করেন। এদের উদ্দেশ্য হতে পারে পরিষেবার গুণগত উন্নয়ন এবং মানসম্মতি বজায় রাখা।

11.ব্যবসায় ও বাণিজ্যিক উদ্যোগপতি: এই উদ্যোক্তারা ব্যবসা এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে উদ্যোগ চালায় এবং তাদের কাজের উদ্দেশ্য হতে পারে নতুন ব্যবসায়িক সৃষ্টিতে উন্নয়ন এবং উন্নতি।

উদ্যোক্তারা অত্যন্ত সৃজনশীল হতে পারেন এবং তাদের উদ্যোগগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন ,পাশাপাশি নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের মুখ উজ্জল করে চলছে । 


পরবর্তী পোস্ট দেখুন পূর্ববর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url