লেখালেখি করে আয়

লেখালেখি করে ইনকাম করুন

এখন খেকে আপনি চাইলে সহজেই আমাদের থেকে ওয়েবসাইট ক্রয় করে নিতে পারেন । ওয়েবসাইট থেকে আয়ের বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যা থেকে প্রতিমাসে ২০/৩০ হাজার টাকা সহজেই ইনকাম করতে পারবেন ।আপনার কাজ হবে শুধু নিয়মিত লেখালেখি করা ওয়েবসাইটে শুধু এতটুকু করতে পারলেই ইনকাম হবে ইনশাআল্লাহ । 

ওয়েবসাইট থেকে আয় করার  কিছু উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:

১. গুগল এডসেন্স

গুগল এডসেন্স একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক যা ওয়েবসাইট মালিকদের তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করতে সহায়তা করে। বিজ্ঞাপনগুলো সাইটের বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত হয় এবং দর্শকরা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনি আয় করতে পারেন।

 ২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি অন্য কোম্পানির পণ্য বা সেবার প্রচার করে কমিশন অর্জন করতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যদি কেউ সেই পণ্য বা সেবা ক্রয় করে, আপনি কমিশন পাবেন। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম একটি জনপ্রিয় উদাহরণ।

৩. স্পন্সরশিপ এবং পেইড পোস্ট

আপনি যদি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট চালান, তবে বিভিন্ন কোম্পানি আপনার ওয়েবসাইটে তাদের পণ্য বা সেবার প্রচার করতে স্পন্সরশিপ বা পেইড পোস্টের জন্য আপনাকে অর্থ দিতে পারে। 

৪. ডিজিটাল পণ্য বিক্রি

আপনি নিজের তৈরি ডিজিটাল পণ্য যেমন ই-বুক, অনলাইন কোর্স, সফটওয়্যার, ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। 

৫. সদস্যপদ/সাবস্ক্রিপশন মডেল

আপনার ওয়েবসাইটের বিশেষ কনটেন্ট বা সেবা শুধু সদস্যদের জন্য উপলব্ধ রাখার মাধ্যমে আপনি সদস্যপদ ফি অর্জন করতে পারেন। 

৬. অনলাইন পরিষেবা

আপনি বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা যেমন ফ্রিল্যান্সিং, কনসাল্টিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি সেবা দিতে পারেন।

৭. দান এবং ক্রাউডফান্ডিং

কিছু ওয়েবসাইট দর্শকদের কাছ থেকে দান গ্রহণ করে বা ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে।

৮. ই-কমার্স

আপনি আপনার ওয়েবসাইটে নিজস্ব পণ্য বিক্রি করতে পারেন, যা ই-কমার্স স্টোর হিসেবে কাজ করবে।

 ৯. ফ্রিল্যান্স কাজের জন্য পোর্টফোলিও

আপনার ওয়েবসাইটটি ফ্রিল্যান্স কাজের পোর্টফোলিও হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার কাজের উদাহরণ এবং ক্লায়েন্টদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নতুন ক্লায়েন্টদের আকর্ষণ করতে পারেন। 

১০. প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ এবং পেট্রিয়ন

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ অপশন যোগ করতে পারেন। দর্শকরা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে প্রিমিয়াম কনটেন্ট বা বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন। এছাড়া, পেট্রিয়ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভক্তদের কাছ থেকে সাবস্ক্রিপশন ফি নিতে পারেন।

১১. ওয়েবসাইট ফ্লিপিং

ওয়েবসাইট ফ্লিপিং হল একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তা উন্নত করেন এবং পরে তা বিক্রি করেন। ফ্লিপা এবং এম্পায়ার ফ্লিপারস এর মতো প্ল্যাটফর্মে ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারেন।

১২. লিড জেনারেশন

আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লিড সংগ্রহ করতে পারেন এবং তা বিভিন্ন কোম্পানিকে বিক্রি করতে পারেন। বিশেষ করে যারা স্থানীয় ব্যবসার জন্য লিড সংগ্রহ করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি ভালো আয়ের মাধ্যম।

১৩. প্রিমিয়াম প্লাগইন/থিম বিক্রি

যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হন, তবে প্রিমিয়াম প্লাগইন বা থিম বিক্রি করতে পারেন। এটি একটি বড় বাজার এবং ভালো মানের প্রোডাক্ট তৈরি করলে ভালো আয় করতে পারেন।

১৪. ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস

আপনার ওয়েবসাইটকে একটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস হিসেবে তৈরি করতে পারেন, যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা কাজের জন্য বিড করতে পারবেন এবং ক্লায়েন্টরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ করতে পারবেন।

১৫. কনটেন্ট লকিং

কিছু বিশেষ কনটেন্ট লক করে রাখতে পারেন যা দর্শকরা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ক্রিয়া সম্পন্ন করার পর দেখতে পারবেন, যেমন একটি ফর্ম পূরণ করা বা একটি অফার গ্রহণ করা।

 ১৬. ভৌগোলিক লক্ষ্যমাত্রা (Geo-Targeting) বিজ্ঞাপন

আপনার ওয়েবসাইটে দর্শকের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেন। এটি বিশেষ করে স্থানীয় ব্যবসার জন্য কার্যকর।

১৭. ভিডিও কনটেন্ট এবং ইউটিউব মনিটাইজেশন

আপনার ওয়েবসাইটে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন এবং ইউটিউবের মাধ্যমে মনিটাইজ করতে পারেন। ইউটিউব থেকে আয়ের জন্য গুগল এডসেন্সের মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

১৮. স্পন্সরড রিভিউ এবং টিউটোরিয়াল

বিভিন্ন পণ্য বা সেবার স্পন্সরড রিভিউ বা টিউটোরিয়াল তৈরি করতে পারেন। স্পন্সররা আপনাকে তাদের পণ্য বা সেবা পর্যালোচনা করার জন্য অর্থ প্রদান করবে।

১৯. অনলাইন ইভেন্ট এবং ওয়েবিনার

অনলাইন ইভেন্ট এবং ওয়েবিনার আয়োজন করতে পারেন এবং অংশগ্রহণকারীদের থেকে ফি গ্রহণ করতে পারেন। এটি বিশেষ করে শিক্ষামূলক এবং প্রশিক্ষণমূলক ইভেন্টের জন্য কার্যকর।

 ২০. বুটস্ট্র্যাপড স্টার্টআপ

আপনার ওয়েবসাইটকে একটি বুটস্ট্র্যাপড স্টার্টআপ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন এবং পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীদের কাছে উপস্থাপন করতে পারেন। এটি বড় আয়ের একটি মাধ্যম হতে পারে যদি আপনার প্রজেক্ট সফল হয়।

এই পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট থেকে আয়ের নিশ্চিত করতে পারবেন । আপনার কাজ হবে শুধু নিয়মিত লেখালেখি করা ওয়েবসাইটে শুধু এতটুকু করতে পারলেই ইনকাম হবে ইনশাআল্লাহ ।

ফ্রিল্যান্সিং ট্রাস্টের সাথে যোগাযোগের সমস্ত ঠিকানা

এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url